ডুমুর একটি ফল বা সবজি বিশেষ। বাংলাদেশ ে ঔষধি গুন সম্পন্ন এই ফলকে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল সাধারণত বন জঙ্গল এলাকাতে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এর ফল পশু পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডুমুর ফল পাকলে সেটি বিভিন্ন প্রকারের পাখি খেয়ে থাকে এবং পাখিগুলোর বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মলত্যাগ করার প্রেক্ষিতে সেই বীজগুলো আবার নতুন চারা গজিয়ে সেখানে ডুমুর গাছের উৎপত্তি হয়। এভাবে ডুমুর গাছের বিস্তার এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় হয়ে থাকে।
ডুমুরের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus. এই ফলটি মোরাসিয়া গোত্রভুক্ত ৮৫০ কিলো বেশি প্রজাতিভুক্ত একটি কাঠ জাতীয় গাছ থেকে এই ফলটি পাওয়া যায়। সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এটি বিভিন্ন বন জঙ্গলে বসে থাকে এবং এর ফল অর্থাৎ ডুমুর মানুষ সবজি হিসেবে পেরে নিয়ে আসে রান্না করে খেতে হয়। প্রাচীন যুগ থেকেই ডুমুরের কদর রয়েছে আমাদের এই অঞ্চলে। এই খাবারটি খেলে অনেক ধরনের অসুখ থেকে ভারত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সহ বেশ কিছু শরীরের অংশ ঠিকঠাক মতো চালানোর জন্য অবশ্যই ডুমুরের মতো খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এর আগে ই বলেছি যে ডুমুরের প্রায় ৮৫০ টির মত প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশের ১৭ বছর যে ডুমুর পাওয়া যায় তা হল Ficus hispid. এই ডুমুর ফলটি আকারে অনেকটাই ছোট। এই ছোট ফলটি আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক লোক তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকে। বেশিরভাগ ফল পাখি রাই পাকলে খায়।
তাই প্রাকৃতিক দিক থেকে ডুমুরের ফল বা ডুমুর মানুষের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় হলেও এটি যেহেতু পাখিদের আহার হিসেবে ব্যবহার করে তাই এটি অবশ্যই পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ডুমুরকে কেউ কেউ কাট ডুমুর নামেও অভিভূত করে থাকেন। এছাড়া আরেক প্রকারের ডুমুর দেখা যায় সেটি বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অর্থাৎ আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পর্তুগাল পর্যন্ত এই ডুমুরের চাষ হয়ে থাকে।
এবং এই ডুমুর ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল হিসেবেই ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ডুমুর কে হিন্দি, উর্দু, ফার্সী ও মারাঠি ভাষায় সাধারণত আঞ্জির বলে ডাকা হয়ে থাকে। আজকে আপনারা যারা আমাদের এখানে এসেছেন ডুমুর ফুলের ছবি দেখার জন্য। আসলে ডুমুরের ফুল বলতে আমরা বুঝে থাকি যে অদৃশ্য বস্তু। অর্থাৎ ডুমুরের ফুল উদ্ভিদের ভিতরেই সেটি প্রস্ফুটিত হয়ে তা ফলে পরিণত হয়। তাই আপনারা ডুমুর ফুলের দ্বারা ছবি দেখতে এসেছেন তারা হয়তো জানেন না যে ডুমুর সাধারণত বাহ্যিকভাবে ফুল ফোটে না।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির রহস্যের মধ্যে এটি একটা রহস্য বলেই মনে করা হয়। তাই আপনারা যারা আজকে ডুমুরের ফুলের ছবি দেখতে এসেছেন তারা হয়তো ভেবেছিলেন যে ডুমুরের ফুল হয়। কিন্তু আসলে বাস্তব জীবনে ডুমুরের ফুল আমরা কখনো দেখতে পাই না। এজন্য বাংলার রূপকথায় বা ধাঁধায় অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে ডুমুরের ফুল যদি দেখা যায় তাহলে সেই ব্যক্তি রাজা হতে পারে। কিন্তু আসলে ডুমুরের ফুল কখনো দেখা যায় না। আর এই কারণে ডুমুর ফুলের ছবিও আজকে আপনাদেরকে দেখানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হয়।
কেউ যদি আপনাদের ডুমুরের ফুলের ছবি দেখায় তাহলে আসলে সেটি ডুমুর ফুলের ছবি হবে না। ডুমুরের ফুল থাকে সাধারণত ফলের ভেতরে। অতি ছোট ছোট কীটপতঙ্গ সেই ফলের মধ্যে ঢুকে ডুমুর ফুলের পরাগায়ন ঘটায়। ডুমুর ভাঙলে ভেতরে গর্ভকেশর ব্যোমকেশর সবই দেখতে পাওয়া যায়।
তাই আমরা যদি ডুমুর ফুলের ছবি দেখতে চাই তাই বলে বাস্তব জীবনে আসলে এই ফুলের ছবিগুলো অন্যান্য ফুলের মত কখনোই সম্ভব নয়। এই কারণে ডুমুরের ফুল বলতে সাধারণত অদৃশ্য ব্যক্তিদের কে অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তিদেরকে সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় না তাদেরকে বুঝানো হয়। এ ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা মনে করি।
Leave a Reply