দুবাই হল মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দুবাইয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বাংলাদেশী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে যেত। এবং বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে প্রাথমিকভাবে দুবাই বেশি যেতে বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে আমাদের দেশ থেকে মানবসম্পদ অর্থাৎ যক্ষ মানবসম্পদ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই যায়। বর্তমান সময়ে মানবসম্পদ রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। তাই আজকে আমরা দেখব যে বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিকগণ দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য।
তারা যদি দুবাইয়ের টাকা বাংলাদেশে তাদের নিকট আত্মীয়ের কাছে প্রেরণ করে থাকে তাহলে দুবাইয়ের ১০০ টাকার সমান বাংলাদেশী কত টাকা সে বিষয়টি দেখে নেব। তাদের অবশ্যই এ বিষয়টি জানার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তারা দুবাই থেকে যদি ১০০ টাকা দেশের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে থাকে তাহলে তার নিকট আত্মীয়রা কত টাকা পাবে সে বিষয়টা অবশ্যই আমাদের জানিয়ে দিতে হবে। তা না হলে তাদের কখনোই হিসাব থাকবে না বা বুঝতে পারবে না যে ১০০ টাকা দুবাইয়ের পাঠালাম তাহলে বাংলাদেশে আমাদের নিকট আত্মীয় অর্থাৎ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েরা অথবা বাবা মায়েরা কত টাকা পাবে।
আমরা জানি যে কোন দেশের টাকার মান নির্ভর করে সেই দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর। যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি যত কম সে দেশের টাকার মূল্যবান তত বেশি। আর বাংলাদেশের শ্রমিকেরা যে সকল দেশে কাজ করে বেশি টাকা উপার্জন করা যায় সেই দেশে গমন করতেই বেশি ইচ্ছুক। তেমনিভাবে যেহেতু দুবাই একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশের মুদ্রাস্ফীতি কম এবং টাকার মূল্যবান অনেক বেশি হয়ে থাকে বাংলাদেশের তুলনায়।
তাই বাংলাদেশ থেকে দুবাই বা মধ্যপ্রাচ্য এ সকল দেশসমূহ প্রচুর শ্রমিক যে থাকে প্রতি বছরই। এবং বেশ কিছু টাকা পয়সা খরচ করেই তাদেরকে সেই সকল দেশের যেতে হয়। তাই তাদেরকে অবশ্যই আগে দেখে নিতে হবে যে দুবাইয়ের ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশী কত টাকা সেটি। বাংলাদেশে অনেক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে এবং এ সকল দক্ষ জনশক্তি দেশে তেমনভাবে কাজ পায় না তাই তাদেরকে অবশ্যই কাজের উদ্দেশ্যেই এবং জীবন গড়ার তাগিদেই বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। পাড়ি জমাতে হয় তাদের বাবা-মা ভাই বোন স্ত্রী সন্তানকে লালন-পালন করার উদ্দেশ্যেও।
কিন্তু ভেবেচিন্তে সে সকল দেশের গমন করতে হয়। তা না হলে শুধু টাকা পয়সা খরচ করে যে কোন একটা দেশে গেলেই হলো না। সেই দেশের সাথে বাংলাদেশের টাকার মূল্য মান কত সে বিষয়টি আমাদের জেনে রাখা উচিত। এবং সেই বিষয়গুলি জানার পর আমাদের সেই দেশে যাওয়ার আগ্রহ দেখাতে হয়। তাই আজকে আমরা দেখব যে দুবাইয়ের ১০০ টাকার সমান বাংলাদেশি কত টাকা। আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মার্কিন ডলার।
কিন্তু মার্কিন ডলারের চাইতেও অনেক দেশের মুদ্রার মূল্যবান অনেক বেশি রয়েছে বাংলাদেশের তুলনায়। এখন সেই বিষয়টি আমরা দেখব যে দুবাইয়ের সাথে বাংলাদেশের টাকার মূল্যবান। তাহলে চলুন আগে দেখে নিন যে, দুবাইয়ের ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশি কত টাকা। দুবাইয়ের প্রচলিত মুদ্রার নাম দিরহাম। তাই ১০০ দিরহাম = ২৯১৭ টাকা। আপনারা দুবাইয়ের দিরহাম এর সাথে বাংলাদেশের টাকার তুলনা এখানে দেখতে পেলেন। অর্থাৎ আপনারা দেখে নিতে পারলেন যে দুবাইয়ের ১০০ দিরহাম সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয় সে বিষয়টি।
বাংলাদেশের টাকার মূল্য মানের চাইতে দুবাইয়ের টাকার মূল্যবান অনেক বেশি এই কারণে জুবায়ের ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের যদি পাঠায় কেউ তাহলে সেই টাকা হবে ২৯১৭ টাকা। তাহলে আপনারা অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে যেতে পারবেন যে কোন কাজের জন্য। এ ধরনের তথ্যগুলি আপনারা যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের সব ধরনের তথ্য সবার আগে পৌঁছে দেওয়ার।
Leave a Reply