দক্ষিণেশ্বর মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রানী রাসমণি। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের নাম ছিল এ যুগের অবদান অর্থাৎ দাপরের কৃষ্ণ এবং তিতা যুগের রাম এই নিয়ে কলি যুগে এসেছেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। অর্থাৎ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন এই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের একজন সিদ্ধিপ্রাপ্ত পুরোহিত। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কারণেই দক্ষিণেশ্বরের মাম ভবতারিনের মন্দিরটি বিশ্বের সমস্ত সনাতনীদের কাছে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই আজকে আপনারা যেহেতু আমাদের এখানে এসেছেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি দেখার জন্য।
যে কয়টি ধাম রয়েছেন পশ্চিমবাংলায় তার মধ্যে অবশ্যই দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী মন্দির একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। আশেপাশের যেকোনো ব্যক্তি অর্থাৎ সনাতনী ব্যক্তি যদি কলকাতায় যায় তাহলে অবশ্যই তাদের প্রথম পছন্দ দক্ষিণেশ্বর কালী মাতার মন্দির। তাই এই মন্দিরের সাথে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং রানী রাসমনির নাম ওতপ্রোতভাবে
জড়িয়ে রয়েছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সাথে বাংলার বা সনাতনী ধর্মের আরো বিষয় উল্লেখ রয়েছে বা আরো উত্থান এর বিষয়ে রয়েছে এখান থেকেই। বাংলার আরেকটি প্রবীণ সন্ন্যাসী অর্থাৎ নরেন যাকে পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দ নামে চিনে থাকে। এই স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাব আসলে এই মন্দিরের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একজন প্রকৃত শীর্ষ হলেন এই স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুরের শ্রীরামকৃষ্ণের হাত ধরে সাধনার উচ্চমার্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের সনাতন ধর্মকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। অর্থাৎ ১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে বিশ্ব বহুত ধর্ম মহাসম্মেলনে সনাতন ধর্মের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
অর্থাৎ তিনি সনাতন ধর্মকে সেই ধর্মসভায় সবার উপরে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকেই স্বামী বিবেকানন্দের উত্থানের জীবন শুরু। পরবর্তীতে তিনি সমস্ত বিশ্ব এই সনাতন ধর্মের কথা ছড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন বক্তৃতার মাঝে। তার বক্তৃতায় উঠে এসেছে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শখ মহত্ত্বের কাহিনী এবং সকল ধর্মের জননী স্বরূপ যে আমাদের সনাতন ধর্ম সে বিষয়টি সমস্ত বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু তার উত্থান বান সন্ন্যাস জীবনের যাত্রা শুরু হয় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছ থেকেই। তাই আপনারা দক্ষিণেশ্বর মন্দির কে সারা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন তিনজন ব্যক্তি তিনজন মহৎ ব্যক্তি। এই তিনজন মহৎ ব্যক্তিকে সাধারণত মানুষ বা ব্যক্তি বললে অবশ্যই ভুল হবে তারা হলেন সমাজের অনেক বড় বড় ব্যক্তি সমাজ সংস্কারক এবং মানবতাবাদী তিন ব্যক্তির কারণেই মোটামুটি ভাবে শুধু দক্ষিণেশ্বর মন্দির নয় সনাতন ধর্ম পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তাই আপনারা যেহেতু আজকে আমাদের এখান থেকে দেখতে এসেছেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি। অর্থাৎ যখন প্রায় সতীদাহ প্রথা চলছিল সেই সময়কার সমাজ সংস্কারক রানি রাসমনির অনেকটা এগিয়েছিলেন এই উপথা সনাতন ধর্ম থেকে বিদায় করার জন্য। রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে রানী রাসমণি ও যুক্ত ছিলেন সমাজ থেকে এই সতীদাহ প্রথাকে বিলুপ্ত করা। সে সময়ই রানী রাসমণি ইংরেজদের বিভিন্ন কর্মের অর্থাৎ অন্যায় কাজের বিরোধিতা করে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরটি
স্থাপন করেন। নানা বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে বর্তমানের এই মহাপীঠ অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির বিশ্বের বুকে অনেক মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের কোন সনাতনী ব্যক্তি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কাহিনী তথ্য বা তথ্যগুলি জানেনা এমন মানুষ মনে হয় নেই। আমরা এখন আপনাদেরকে আমাদের এই পোস্ট থেকে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির অর্থাৎ মা ভবতারিণী মন্দিরের ছবি বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তোলা সেই ছবিগুলো আপনাদেরকে এখন দেখাবো।
অর্থাৎ আমাদের এই পোস্টে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি দিয়ে দেবো আপনাদের যদি কোন ছবিগুলো নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেই ছবিগুলো নিয়ে নিতে পারবেন। কারণ আপনারা জানেন যে আমাদের এখান থেকে যেকোনো ছবি অথবা তথ্য গুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আর যে কোন তথ্য ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। এ ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন।
Leave a Reply