জন্মিলে মরিতে হইবে একথা চিরসত্য। সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল মানুষকে মারা গেলে শ্মশানে নিয়ে যায়। শ্মশান তাদের পরবর্তীতে একমাত্র ঠিকানা হয়ে যায়। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যে সকল দেশের যে সকল জায়গায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বসবাস করে থাকেন তাদের মৃত্যুর পর সৎকারের জন্য শ্মশানের প্রয়োজন রয়েছে। তাই মৃত্যুর পরে যে জায়গাতে নিয়ে দেহ সৎকার করা হয়ে থাকে সেই জায়গা শ্মশানঘাট নামে পরিচিত। শ্মশান ঘাট প্রতিটি হিন্দু নরনারীর জন্য বা হিন্দু ব্যক্তির জন্য শেষ ঠিকানা বলে ধরে নেওয়া হয়।
পৃথিবীতে সকল ধর্মের অধিবাসীদের জন্য মৃত্যুর পর আলাদা আলাদা ঠিকানা হয়ে থাকে। এইসব ঠিকানা গুলির মধ্যে মুসলমান খ্রিস্টান ইহুদি এদের জন্য কবরস্থান রয়েছে আর হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের শিক জৈন ইত্যাদি ধর্মের অধিবাসীদের জন্য মৃত্যুর পর দেহর সতকার করার জন্য শ্মশানঘাট প্রয়োজন। তাই তাদের জন্য শ্মশান ঘাট রয়েছে। আমরা আমাদের পৃথিবীর যে সকল এলাকায় হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন ইত্যাদি ধর্মালম্বী লোক দেখতে পাই সে সকল অঞ্চলগুলিতে অবশ্যই শ্মশানঘাট রয়েছে। প্রাচীনকালে শ্মশান ঘাট অত উন্নত ছিল না।
শ্মশান ঘাট গুলি বর্তমান আধুনিক কালে এসে অনেকটাই উন্নত করা হয়েছে। শ্মশান ঘাট সাধারণত নদী বা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে হয়ে থাকে। কারণ সনাতন ধর্মালম্বী পণ্ডিত গান মনে করে থাকেন দেহ সৎকারের পর যে সকল ভাষ্য থাকে সেগুলি অবশ্যই জলে ভাসিয়ে দিতে হয়। এছাড়াও সৎকারের পর দেহের অবশিষ্টাংশ অর্থাৎ যাকে বলা হয় অস্থি, সেটি জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এছাড়াও কোন সামর্থ্যবান ব্যক্তির ক্ষেত্রে অস্থি নিকটস্থ কোনো তীর্থস্থানের জলে রেখে আসতে হয়।
এতে আমরা মনে করি যে মৃত্যুর পর দেহের সদগতি হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর পরকালে নিজেদেরকে যেন অশরীরী আত্মারূপে বাপে তার রূপে ঘুরে বেড়াতে না হয় সেজন্য অবশ্যই ধর্মীয় মতে ধর্মীয় মন্ত্র উচ্চারণ করে দেহ সৎকার করতে হয় এতে দেহের সদগতি হয় বলেই মনে করা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে শ্মশান ঘাট গুলো তেম ন উন্নত ছিল না শুধুমাত্র নদীর বাস সমুদ্রের তীরে কোন একটা জায়গা থাকতো সেখানে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে নিতে হতো তাৎক্ষণিকভাবে।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই শ্মশানঘাট গুলি অত্যাধুনিক করা হয়েছে। কোথাও কোথাও কাঠের চল্লিশ বদলে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানো হয়েছে। এবং ঝড় বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে শ্মশান ঘাট গুলিতে ঘরের মধ্যে এ সকল চুল্লি বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের সকল অঞ্চলেই চুল্লি গুলি ঘরের মধ্যে রয়েছে এমন বলা যায় না। আধুনিক শশানঘাট গলিতে ইলেকট্রিক চুল্লি দ্বারা অল্প সময়ের মধ্যে দেহ সৎকার করা যায়।
কাঠের চুল্লিতে একটি দেহ সৎকার করতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে। তাই বর্তমান সময়ে যেহেতু সময়ের বড় অভাব তাই ইলেকট্রিক চুল্লি গুলিই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই কারণে আপনারা যেহেতু আজকে শশান ঘাটের ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে প্রাচীনকালের শ্মশান ঘাট থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক এই শ্মশান ঘাটের ছবিগুলো পর্যন্ত আপনারা দেখে নিতে পারবেন। শ্মশান ঘাটের ছবি এবং শ্মশান ঘাটের দেহকে দাহ করার জন্য যে চুল্লিগুলি রয়েছে সে চুল্লিগুলি আপনাদেরকে দেখাবো।
বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে সকল কিছুই আপনারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসে দেখে নিতে পারেন। সেই জন্য আপনারা যেহেতু আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে শ্মশান ঘাটে ছবি দেখার জন্য এসেছেন অবশ্যই আপনারা সেই শ্মশানের ছবিগুলো অর্থাৎ সব রকমের শ্মশানের ছবিগুলো আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শ্মশানের ছবিগুলো আমরা এখান থেকে দেখতে থাকি। এ ধরনের তথ্য গুলি পাওয়ার জন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন তাহলে অবশ্যই যেকোনো সময় যে কোন বিষয় জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিতে পারেন।
Leave a Reply