এপেন্ডিসাইটিস রোগটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। যেকোনো বয়সে এই রোগটি হতে পারে। শিশুকালে এবং প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো বয়সেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটি দেখা দেয়। এই রোগের প্রতিকারের একটাই উপায় হলো অপারেশন। সার্জারির মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগকে একেবারে এর জন্য প্রতিরোধ করা হয়। এপেন্ডিসাইটিস এর জন্য যে অপারেশনটি করা হয় সেটা একেবারেই ছোট্ট অপারেশন। এপেন্ডিসাইটিস রোগ খুব একটা বেশি ভয়াবহ নয়। আপনাদের যদি কারো এই রোগটি হয়ে থাকে তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ছোট্ট একটি অপারেশনের মাধ্যমে আপনি একজন সুস্থ হতে পারেন।
অনেকে আছে যারা এই রোগ সম্পর্কে জানেনা। আমরা তাদের এপেন্ডিসাইটিস রোগ সম্পর্কে জানাবো আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। অনেকে আবার অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর পিকচার দেখতে চাই। আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগ কি এবং এর অনেকগুলো ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এরকম বিভিন্ন রোগের পিকচার দেখতে চাইলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
একদম রিয়েল পিকচারগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। রিয়েল পিকচার এবং গ্রাফিক্স পিকচার সকল ধরনের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের পিকচার গুলো পেয়ে যাবেন আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। তাহলে চলুন দেখে নিন অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর পিকচার গুলি। এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটা আসলে কি এবং এর লক্ষণ গুলো আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
অ্যাপেন্ডিক্স ফলে অ্যাপেন্ডিক্সের টিস্যুতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে সহজেই ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়। প্রদাহের ফলে অ্যাপেন্ডিক্স অনেক ফুলে যায় ফলে এর টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও মরে যেতে থাকে। যথাসময়ে চিকিৎসা প্রদান না করলে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গিয়ে ব্যাক্টেরিয়া পুরা পেটে ছড়িয়ে পড়ে, তীব্র ব্যথা হয়।রোগীর লক্ষণসমূহ পর্যবেক্ষণ করেই অনেকাংশে রোগ নির্ণয় সম্ভব।
রোগের লক্ষণ ও শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব না হলে রেডিওগ্রাফিক চিত্র যেমন সিটি স্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। এক্ষত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাফির তুলনায় সিটি স্ক্যান বেশি নির্ভুল। তবে শিশু ও গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে আল্ট্রাসাউন্ড পছন্দনীয় কারণ সিটি স্ক্যানে তেজস্ক্রিয়তাজনিত ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে অ্যাপেন্ডিসেক্টোমি বা শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স কেটে ফেলা। দ্রুত সার্জারি এই রোগের জটিলতা বা অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এক্ষত্রে ইনফেকশন কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তীব্র পেটব্যথার সবচেয়ে প্রধান কারণ এটি। অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা।
এই ব্যথা সাধারণ পেট ব্যথার তুলনায় বেশ আলাদা। এটা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় শল্যচিকিৎসা নিতে হয়। অনেক সময় এ ব্যথাকে আমল না দিয়ে নানা রকম ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে রোগীর শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী হয়। থেমে থেমে ব্যথা ওঠে সেটা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে। সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে রোগী হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়। তবে হালকা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে।
কেননা, পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে, এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুতর সংক্রমণ।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। আশা করি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রয়োজন এর পিকচার গুলো আমাদের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন।
Leave a Reply